মোজাম্মেল হোসেন রিয়াজঃ
নোয়াখালীর চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় আসমা আক্তার মিমি নামের এক গৃহবধূ মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
আসমা আক্তার মিমি চাটখিল উপজেলার রুদ্ররামপুর গ্রামের উওর হাজী বাড়ির সেলিমের স্ত্রী। এই দম্পতির আড়াই বছরে মিনহাজ নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালে গলায় টনসেল জনিত সমস্যা জন্য আসেন। পরে হাসপাতালের সাপ্তাহিক নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামান মিমিকে দেখে ১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করে।
গৃহবধূর স্বামী সেলিম আলোকিত নোয়াখালীকে বলেন,১১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মিমিকে নিয়ে চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালে আসি। বিকেল ৫টায় আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ডাঃ আসাদুজ্জামান মিমির টনসেল অপারেশন করেন।
অপারেশন থিয়েটার থেকে মিমিকে বের করে ৩০৩ নং কেবিনে নেওয়া হয়।
কেবিনের নেওয়ার পর অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় মিমির নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা পুনরায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। ২য় বার অনেক সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারে থাকা অবস্থায় একটি এ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। এ সময় অপারেশন থিয়েটারে আমাকে ডেকে নিয়ে বলে আপনার স্ত্রীর অক্সিজেন প্রয়োজন। তাছাড়া তাকে আইসিইউতে রাখতে হবে। আপনাদের কোন চিন্তা নেই। ঢাকার প্রো একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আমরা সব ব্যবস্থা করেছি বলে স্কয়ার হাসপাতাল কতৃপক্ষ মিমিকে প্রো একটিভ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি দাবি করেন, টনসেল অপারেশনের সময় আমার স্ত্রীর গলার রগ কেটে পেলে যার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় সে মারা গেছে,কিন্তু প্রো একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাথে চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের সম্পর্ক থাকার কারণে তারা আমাাদের কে বলে নাই।
রবিবার সকাল ৭:২১ মিনিটে মিমিকে মৃত ঘোষণা করে একটিভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক নিপরতী ভুশন নিপু থেকে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি আলোকিত নোয়াখালীকে জানান, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে সাপ্তাহিক নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামান আছমা আক্তার মিমিকে টনসেল অপারেশন করেন।
ডাক্তারের সাথে ছিলেন মশিউর। রুমে নেওয়ার পর রুগির লোকে মনে হয় কান্নাকাটি করেছে, পরে রুগি হার্ট হার্টাক করেছে। এর পর রুগীকে ঢাকা প্রো একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের আলোকিত নোয়াখালীকে বলেন,ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি, এখন পর্যন্ত এ বিষয় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply